অলৌকিক
* বলি কান্দারি সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দান আর কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ কর ?
উঃ ) কর্তার সিং দুগ্গালের অলৌকিক গল্পের গুরু নানকের কথামতো এক প্রবল গরমের দিনে তৃষ্ণার্ত মর্দা না জলের জন্য তিনবার দরবেশ বলি কান্ডারের কুটিরে যান । পাহাড় ভিড়িয়ে অনেক কষ্টে সেখানে পৌঁছানোর পরে প্রত্যেকবারই তার প্রাপ্তি ছিল শুধু প্রত্যাখান আর উপেক্ষা প্রথমবার বলি কান্ডারী কুয়োর দিকে ইঙ্গিত করলেও মর্দানা পীর নানকের সঙ্গে তিনি তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেয়।
খুবই দুঃখে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করার সত্ত্বেও মর্দান নানকের কথা মেনে আবার বলি কান্ডারীর কাছে যান । কিন্তু এবারও মর্দান আগে কাফেরের শিষ্য বলে বলি কান্দারি তাড়িয়ে দেন অত্যন্ত অরুণ অবস্থায় নানকের কাছে ফিরে আসার পর মৃতপ্রায় মর্দানাকে জয় নিরঙ্কার বলে আবারো বলে কান্দারের কাছে যেতে বলেন নানক । গুরু রাধেশ কে মেনে নিয়ে মরদানা আবারো দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে বলি কান্ডারীর কাছে যান কিন্তু পীর হওয়ার সত্বেও নানুক তার শিষ্যের জন্য জল জোগাড় করতে পারেন না , এই কটাক্ষ করে মর্দানাকে ফের ফিরিয়ে দেন বলি কান্ডারী ফিরে এসে মর দানা তৃষ্ণার্ত গুরু নানকের পায়ের কাছে মুরচিত হয়ে পড়ে ।
এইভাবে বলি কান্দারের সঙ্গে প্রতিবার সাক্ষাতেই অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন মর্দানা ।
* হাসান আব্দাল এখন যার নাম পাঞ্জা সাহেব গুরু নানকের হাতের ছাপ আজও লেগে রয়েছে ।" — এই ঘটনাটি উল্লেখ কর ?
উঃ) কর্দর সিং দুগ্গলের অলৌকিক গল্পে দেখা যায় গরু নানকের সঙ্গে তৃষ্ণার্ত মর্দানা নানকের নির্দেশ মত জলের জন্য মোট তিনবার পাহাড় চূড়ায় দরবেশ বলি কান্ডারীর কাছে যান ।
কিন্তু বলি কান্ডারী নানকের নাম শুনেই তাকে তাড়িয়ে দেন । তিনবার প্রত্যাখাত হয়ে মর্দানা যখন প্রায় মুছিত সেই সময় ননক তার পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস যুগিয়ে মর্দানাকে সামনের পাথর টা তুলতে বলেন আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে । চারদিক যখন জলে থৈথৈ ঠিক সেই সময় বলি কান্ডারীর জলের দরকার পড়ে তখন তিনি দেখেন যে , তার কই একটুও জল অবশিষ্ট নেই অথচ নিচে বয়ে চলেছে জলের স্রোত ।
একইসঙ্গে গুরু নানককে বাবলাতলায় নিজের অনুচরকে সঙ্গে নিয়ে বসে থাকতেও দেখেন তিনি সিক্ত বলি কান্ডারী তখন পাথরে একটা চাঙ্গর নিচের দিকে গড়িয়ে দেন এই দৃশ্য দেখে মর্দানা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেও জয় নিরঙ্কার ধমনী দিয়ে গুরু নানক শান্ত স্বরে হাত দিয়ে পাথরটা থামিয়ে দেয় ফলে পাথরে নানকের হাতের ছাপ সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই হাসানা আবদালের নাম হয় পাঞ্জা সাহেব ।
* মায়ের বান্ধবী আমাদের সমস্ত ঘটনা শোনালেন....।"— ঘটনাটি উল্লেখ কর এতে বক্তার মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?
উঃ) অলৌকিক গল্পে লেখক কর্তর সিং দুগ্গালে পাঞ্জা সাহেব গিয়ে মায়ের বান্ধবীর কাছে নিম্নলিখিত গল্পটি শুনেছেন । দূরের শহরে ফ্রি কিরা একবার নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপরে গুলি চালানোর বহু মানুষের মৃত্যু হয় বাকিদের ট্রেনে করে অন্য শহরে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েদিরা খিদে প্রায় ছিল, তা সত্ত্বেও ট্রেন কোথায়ও না থামার নির্দেশ দেওয়া হয় । এই খবর পাঞ্জা সাহেবের পৌছলে উত্তেজিত জনতা সিদ্ধান্ত নেয় যে খিদে দেশটায় কাতর কয়েদিদের নিয়ে ট্রেনটিতে যেতে দেওয়া হবে না এরপর ট্রেন আটকানোর জন্য বন্ধ পরিকর হয়ে বাড়ির মেয়ে , বাচ্চাসহ পুরুষেরা রেল লাইনে শুয়ে পড়ে কৃষ্ণ হুইসেল দিয়ে ট্রেন এসে গথিক কমালেও তার চাকা চলে যায় অনেকের বুকের উপর দিয়ে ।
যার মধ্যে কতক মহিলার স্বামী ও ছিলেন ট্রেনের চাকায় লাশগুলো কেটে দুমড়ে মুছে লেগেছিল খালপাড়ের সেতুর দিকে বয়ে গিয়েছিল রক্তের স্রোত লেখকের মায়ের বান্ধবী শুধু ঘটনার প্রত্যক্ষ দোষী ছিলেন না তিনি অবরোধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ।
গল্পটি শুনে লেখা প্রাথমিকভাবে অবাক এবং বিহবল হয়ে যান পরে তিনি উপলব্ধি করেন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে অসম্ভব কেও সম্ভব করা যায় । ও নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাই থামানোর ঘটনায় তার মনে যে অবিশ্বাস জন্মেছিল তা এই গল্পের মাধ্যমে বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে।
* অলৌকিক গল্পটি ছোট গল্প হিসেবে কতটা স্বার্থক তা নিজের ভাষায় আলোচনা কর ?
উঃ) উপরে অনেকবার আলোচনা করা হয়েছে গল্প অবলম্বনে এই প্রশ্নটার উত্তর নিজে করো, যদি উত্তর নিজে করতে না পারো তাহলে প্রশ্নটি লিখে একটি কমেন্ট করো। এই প্রশ্নটার উত্তর দিয়ে দেওয়া হবে।
* গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত ।" — কোন গল্পের কথা বলা হয়েছে ? এই গল্পের প্রতি বক্তার কিভাবে বিশ্বাস জন্মে ছিল ?
উঃ) পর্দার সিন দুগাল এর অলৌকিক গল্পে দেখা যায় গুরু নানক তৃষ্ণার্ত শীর্ষ মর্দানাকে তার সামনের পাথর সরাতে বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে । এদিকে ওই এলাকায় একমাত্র জলের কোন অধিকারই বলি কান্ডারী তার কুয়েতে জল না থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাহাড়ের নিচে জলের স্রোত এবং তার কাছেই শিষ্য সহ গুরু নানককে বসে থাকতে দেখেন । নাটকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে কান্ডারী পাথরের চাঙ্গর নিচের দিকে ফেলে দেয় কিন্তু নানক তার অলৌকিক ক্ষমতা বলে সেই পাথরের চাঙরকে হাত দিয়ে থামিয়ে দেন আলোচ্য অংশে বহু নানকের এই অবিশ্বাস্য গল্পের কথায় বলা হয়েছে ।
পরবর্তীকালে পাঞ্জা সাহেব পৌঁছে লেখক তার মায়ের বান্ধবীর কাছে শুনেছিলেন এক আশ্চর্য ঘটনা শহরের নিরীহ ভারতীয়দের অনেকে হত্যা করে বাকিদের ট্রেনে বন্দী করে নিয়ে যাচ্ছিল ইংরেজরা খিদে টেস্টটায় তারা কাতর হলেও ট্রেন থামানোর নির্দেশ ছিল না। এই ঘটনায় উত্তেজিত পাঞ্জা সাহেবের লোকেরা যেভাবেই হোক ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। চলন্ত ট্রেনের সামনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও তারা ট্রেন থামায় ।
জীবন দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার এই কাহিনী শোনার পরেই বক্তার মনে হয়েছিল প্রবল ইচ্ছা শক্তির জোরে জ্বলন্ত ট্রেনকে থামানো সম্ভব হলে পাথরের চাই থামানো মোটেই অসম্ভব নয়।
* গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে "। —গুরু নানকের হাতের ছাপ কোথায় লেগে আছে ? এই প্রসঙ্গে বর্ণিত ঘটনাটি উল্লেখ কর ।
উঃ) কর্তর সিং দুগালের অলৌকিক গল্পের হাতের ছাপ হাসান আবদালের জঙ্গলে পাথরের গায়ে লেগে আছে ।
আরো এই প্রশ্নটির উত্তর ওপরে আলোচনা করা হয়েছে উপরের প্রশ্নগুলির উত্তর করে এই প্রশ্নটির উত্তর তৈরি কর ।
Post a Comment