চিত্রকলা
* বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশিষ্টতা কোথায় তা বুঝিয়ে দাও ?
উঃ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে এক বিপুল ঐতিহোম পন্ডিত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম গ্রহণ করেন । তরুণ বয়সে তিনি দাদা জোতিনিন্দ্রনাথের সাহচর্য এবং নিজের চেষ্টাও আকা সেখেন তার তরুণ বয়সে আঁকা কিছু স্কেচের সন্ধান পাওয়া যায় মাতলী পুঁথিতে (১৮৭৮) পকেট বুকে ( ১৮৮৯) এবং হেঁয়ালি চিত্রে পান্ডুলিপিতে কাটাকুটি ঢেকে দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যহীন আঁকা আঁখি থেমে রেখায় রেখায় মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প চর্চা শুরু হয়। কালো পেন্সিল , প্যাস্টেল বা রঙিন খড়ি ,
নানা ধরনের ফুল লতাপাতা গাছের রস থেকে তৈরি রংকে তিনি ছবি আঁকার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন । রবীন্দ্রনাথ নারকেল , সরষ ে ও তিলের তেল ছবিতে ব্যবহার করে তার গুনাগুন পর্যবেক্ষণ করতেন । কলম দিয়ে তিনি অত্যন্ত দ্রুত ছবি আঁকতেন তেল ও জল রং এর সঙ্গে সঙ্গে প্যাস্টেল , ফ্রেন্ড এবং ইচিং এর কাজে নানান মৌলিক চিন্তা ও পদ্ধতিতে তিনি বিচিত্র কৌশলে কখনো মানুষ পশু পাখি ফুল আবার কখনো বা পাখির ঠোঁট চলার ভঙ্গিতে তার ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বিদেশের প্যারিসে আর্ট স্কুলে তার চিত্র প্রদর্শনী হয় । তার আঁকা ছবিতে তিনি মানুষের লো ভ প্রভৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন । ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি যে আত্মপ্রতিটি আঁকে তাতে তার অন্তর লোকের পরিচয় পাওয়া যায় মোটা তুলিতে ঢাকা পরিচিত অনেকের প্রতিকৃতি অদ্ভুত দেহি পশু পাখির ছবি আঁকা তার ধরা পড়ে। যে বইয়ের গল্পের সঙ্গে রেখার ছবি তিনি আঁকেন ছবি আঁকেন রঙিন কালি , পেন্সিল অথবা তুলি দিয়ে ।
১৯৩২ এ কলকাতায় প্রদর্শিত তার ছবিগুলির মধ্যে ছিল শেষ নিঃশ্বাস , আবু হোসেন ইত্যাদি প্রাত্যহিক জীবনের বহু বিচিত্র অনুভূমিকে নিজের চিত্রশিল্পে দিকনিষ্ঠা ও প্রত্যয় সঙ্গে তিনি রুপ দিয়েছেন ।
Post a Comment