কে বাঁচায় কে বাঁচ
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
১) ফুটপাথে হাটা তার বেশি প্রয়োজন হয় না ।" — কেন ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয়ের পাড়ায় ফুটপাত কম । বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে অফিসের ট্রাম ধরে । তাকে বাজার দোকানও করতে হয় না । তাই তার ফুটপাতে হাটার প্রয়োজন হয় না ।
২) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা কে করত ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয়ের ছোট ভাই ও তার বাড়ির চাকর তাদের বাড়ির বাজার এবং কেনাকাটা করত ।
৩) " নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই ।" —কিসের দর্শন ?
উঃ ) দু্ভিক্ষের পটভূমিতে মৃত্যুঞ্জয়ের ফুটপাতে অনাহার মৃত্যুর দর্শনের কথা এখানে বলা হয়েছে।
৪) মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কিভাবে অফিসে যেত ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু পা হেঁটে রাস্তায় গিয়ে ট্রামে উঠতো এবং ট্রাম থেকে অফিসের দোরগোড়ায়
৫) মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের শরীর মনে কি হয় ?
উঃ) মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয় মনে কষ্টের সঙ্গে শারীরিক কষ্ট অনুভব করে ।
৬) নিখিল অবসর জীবনটা কিভাবে কাটাতে চেয়েছিল ?
উঃ) বই পড়ে এবং নিজস্ব একটা চিন্তা জগত গড়ে তুলে নিখিল তার অবসর জীবনটা কাটাতে চেয়েছিল ।
৭) নিখিলের চেহারা এবং প্রকৃতি কেমন ছিল ?
উঃ) রোগা চেহারার পুরুষ নিখিল প্রখর বুদ্ধিসম্পূন্ন হলেও সে ছিল একটু অলস প্রকৃতির ।
৮) সংসারে তার নাকি মন নেই ।" — তার মন কিসে ছিল ?
উঃ) নিখিলের মন বই পত্র এবং চিন্তা জগতের মধ্যে বিচরণ করতো ।
৯) নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে কেন ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস এক স্বরচিত যুবক বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করে ।
১০) মৃত্যুঞ্জয় নিখিল কে কোন কোন বিশেষনে তিরস্কার করেছিল ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয় নিখিল কে পাসবিক স্বার্থ কর এবং বদ্ধ পাগল বলে তিরস্কার করেছিল ।
১১) অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে কি করতো ?
উঃ) অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে লঙ্গরখানায় অন্যের প্রত্যাশায় লাইন দিত ।
১২) নিখিল কে বারবার আসতে হয় ।" — নিখিল কে কোথায় , কেন বারবার আসতে হয় ?
উঃ) পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খোঁজখবর নিতে নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে বারবার আসতে হয়।
১৩) টুনুর মা তাকে সকারোধ জানায়়...।' —কি অনুরোধ ?
উঃ) টুনুর মা নিখিল কে সকাতর অনুরোধ জানায় যে , সে যদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে পরিবারের বাকি সকলের দেখভাল করে তবে সে মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকবে।
১৪) এই ভাবনাতেই ওর মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।" — কোন ভাবনায় ?
উঃ) অনাহারীদের জন্য কিছুই কি করা যায় না — সেই ভাবনাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।
১৫) করা ফুটপাতবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় কি পড়তো ?
উঃ) ফুটপাত বাসি হয়ে যাবার আগে মৃত্যুঞ্জয় ধুতি এবং সিল্কের জামা পড়তো ।
১৬) সুস্থ থাকলে টুনুর মা কি করতো বলে জানাই নিখিলকে ?
উঃ) সুস্থ থাকলে টুনির মা যে তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে ফুটপাতে ঘুরে বেড়াতো, তা সে নিখিল কে জানাই ।
১৭) এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি ? " — কোন অপরাধের কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উঃ ) মৃত্যুঞ্জয় বেঁচে থাকা সত্ত্বেও একটা লোক না খেতে পেয়ে ফুটপাতে মারা গেল এই অপরাধের কথা এখানে বলা হয়েছে।
১৯) ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।" — কোন স্বার্থপরতার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উঃ) দশ জনকে ফোন করাচ্ছে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড় পাপ — এই দর্শনকে এক ধরনের পাশবিক স্বার্থপরতা বলে মনে করেছে মৃত্যুঞ্জয় ।
২০) একেবারে মুষরে যাচ্ছেন দিনকে দিন উক্তিটি কার ?
উঃ) কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পে প্রশ্নোত্তি তো এই উক্তিটি মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর।
২১) আজ চোখে পড়লো প্রথম । " — কার চোখে কি প্রথম ধরা পড়লো ?
উঃ) কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখে প্রথম ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য ধরা পরল ।
২২) একটা কাজ করে দিতে হবে ভাই ।" — কে , কাকে, কোন কাজের ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছিল ?
উঃ) মৃত্যুঞ্জয় তাদের অফিসের মাইনের দিন নিখিলের হাতে এক তারা নোট দিয়ে সেগুলি রিলিফ ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।
২৩) তখন সে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়েছে ।"— কে , কখন কাবু হয়ে পড়ে ?
উঃ) কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাতে একদিন অনাহার মৃত্যু দেখার পর অফিসে গিয়ে রীতিমতো কাবু হয়ে পড়ে ।
*নিখিল কে বারবার আসতে হয় ।"— কেন , কোথায় আসতে হয় ?
উঃ) পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খোঁজখবর নিতে তার বন্ধু নিখিলকে তাদের বাড়ি বারবার আসতে হয়।
* মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল ।"— মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থতার কারণ কি ?
উঃ) অফিস যাওয়ার পথে একদিন মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাতে অনাহার মৃত্যুর মতো একশ দৃশ্য অকাঙ্খা দেখে ফেলে । সেটাই তার অসুস্থতার কারণ ।
( Marks=5×1)
* সেদিন অফিস যাওয়ার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখলো — অনাহারে মৃত্যু ।" —এই দেখার ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কি হয়েছিল ?
উঃ) প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোট গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে একদিন ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যু দৃশ্য দেখে । মন্বন্তরের ফলে এমনটা আখসার ঘাটলেও তা ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা । আবেগপ্রবণ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় তাই করুন এই দৃশ্যটি দেখার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রচন্ড মানসিক আঘাতের ফলে শারীরিকভাবে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে ।
রীতিমত কাহিনী অবস্থায় অফিসে পৌঁছেছে অফিসের বাথরুমে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা তৃপ্তির খাবার বমি করে বের করে দেয় । পাশের কুঠরি থেকে খবর নিতে আসে তার সহকর্মী বন্ধু নিখিল । নিখিল ডাকে মৃত্যুঞ্জয় ভাবলে সিন চাহনিতে দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে , সামনে টেবিলের ওপর রাখা শূন্য কাচের গ্লাস । তাকে দেখে নিখিলের মনে হয় যে , নিশ্চয়ই কোন এক বড় সংকটে পড়েছে মৃত্যুঞ্জয় ।
সেই সংকটের নিরব্ধক , অন্যান্য কঠোরতায় শাস্তি তে আটকে পড়া মৌমাছির মত মৃত্যুঞ্জয় গোপনে মাথা কুটছে । নিখিলের এই দেখার মধ্য দিয়ে লেখক সুন্দরভাবে মৃত্যুঞ্জয় প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার একটা স্বচ্ছ ধারণা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন । সে প্রতিক্রিয়া হলো হতাশার , যন্ত্রণার এবং অস্থিরতার ।
* ফুটপাতে অনাহার মৃত্যু দেখার পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় কিভাবে সম্পূর্ণ পাল্টে গেল , তাকে বাঁচায় কে বাঁচে ছোটগল্প অবলম্বনে লেখ ?
উঃ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোট গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে ফুটপাতে অনাহার মৃত্যু দেখে নিজেকে চরম অপরাধী বলে ভাবতে শুরু করে । দু্ভিক্ষের দেশ চার বেলা পেট ভরে খাওয়া এবং অবসরযাপনের সুখ কল্পনায় দিন কাটানোর আত্ম গ্লানিতে ভরে ওঠে তার মন।
বাড়িতে ভালো করে খেতে ও ঘুমোতে পারেনা সে । সস্কৃক এক বেলা না খেয়ে ওই খাবার সে অভুক্তদের বিলোনও শুরু করে । কিন্তু এতেও তার হতাশা দূর হয় না নিখিলের মাধ্যমে পুরো মাসের মাইনেটা সে ত্রাণ তহবিলে দান করে দেয় ।
ক্রমশস্য অফিসে অনিয়মিত হয়ে পড়ে , কাজে ভুল করে প্রায়ই চুপচাপ বসে ভাবে , শহরের গাছ তলায় , ডাস্টবিনের ধারে বা ফুটপাতে পড়ে থাকা দুর্ভিক্ষ পিরিত মানুষগুলিকে দেখতে ঘুরে বেড়ায় । এভাবে ধীরে ধীরে ফুটপাতেই হয়ে ওঠে তার আস্তানা । এভাবেই মধ্যবিত্ত যুবক মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তার পেশা , পরিবার ও সমাজকে ত্যাগ করে মিশে যায় ফুটপাথ এর জীবনে ।
* কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোটগল্পের টুনুর মা চরিত্রটি পর্যালোচনা কর ?
উঃ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোটগল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয়ের স্বামী অন্ত প্রাণ সহধর্মিনী হল মমতা মুই নারী টুনুর মা । নামহীন এই চরিত্রটি শারীরিকভাবে সিনা ও রোগ না হলেও মন্বন্তরের বিভক্তায় নিজের পরিবার সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যাওয়া স্বামীর অস্থিরতাকে সে কেবল মেনেই নেয়নি , মনেও নিয়েছে সে যে তার স্বামীকে ভালোবাসতো এবং তার আদর্শকে সম্মান করতো তাই নয় — সে নিজেও ছিল উদার হৃদয় এবং মমতাময়ী সহ্য সেই অবস্থায় সে বারবার স্বামীর খোঁজ খবর করেছে ,
দু-তিন বারছে স্বামীর ফুটপাতে দু্ভিক্ষ পিরিত অনাহার ক্লিষ্ট মানুষগুলোকে দেখে বেড়ানোর সঙ্গি ও হয়েছে । নিখিলকে সে জানায় , উঠতে পারলে আমি তো ওর সঙ্গে ঘুরতাম ঠাকুরপো ।" মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাপারে তুনুর মা আরও জানিয়েছে " একেবারে মুছরে যাচ্ছেন দিনকে দিন নিখিল কে সে বলেছে , উনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন আমারও মনে হচ্ছে যেন পাগল হয়ে যাব ।
ছেলে মেয়ে গুলির জন্য সত্যিই আমার ভাবনা হয় না কেবলই মনে পড়ে ফুটপাথের ওই লোক গুলির কথা । এভাবে মৃত্যুঞ্জয়ের আদর্শ বাদের সঙ্গী হয়ে যায় টুনুর মা ।
সুতরাং টুনুর মা এ গল্পের এক অপ্রধানচরিত হলেও গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়কে উজ্জ্বল করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই চরিত্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
* মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোটগল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার কর ?
উঃ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোট গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় পঞ্চাশের ( ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ) মন্বন্তরকালে অফিস যাবার পথে একদিন ফুটপাতে অনাহার মৃত্যুর এক বীভংশ দৃশ্যের সাক্ষী হয় । এই দৃশ্যে দেখেছে এতটাই আঘাত পায় এবং অপরাধবোধে দিলো হয়ে পড়ে যে , তারপর থেকে ভালো করে খেতেও ঘুমোতে পারে না ।
আদর্শবাদী যুবকটি তাই স্বস্তিক একবেলা খাওয়া কমিয়ে সেই অনাহারীদের বিলোতে শুরু করে। এমনকি অফিসের পুরো মাইনেটা সে সহকর্মী বন্ধু নিখিলের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলের দান করে দেয়। শহরের ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুঞ্জয় তার পরিবার , পেশা ও সমাজকে ত্যাগ করে এইসব না খেতে পাওয়া মানুষদেরই একজন হয়ে যায় । ছেঁড়া ন্যাকড়া পড়ে মুখ ভর্তি দাড়ি নিয়ে , মগ হাতে লঙ্গরখানায় মারামারি করে খিচুড়ি খায় আর ফুটপাতে পড়ে থাকে সে ।
নিজের সর্বোচ্চ দিয়েও দুর্ভিক্ষ পিরিতদের বাঁচাতে ব্যর্থ হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হতাশ হয়ে অনাহার ক্লিষ্ট সর্বহারা শ্রেণীর মধ্যে নিজেকে বিলিভ করে দিয়েছে এতে নিজে যেমন সে প্রকৃতভাবে বাঁচতে পারেনি। , তেমনি অনাহারীদের ও বাঁচাতে পারেনি তাই এ গল্পের শিরোনামের মধ্য দিয়ে লেখক ' ভুল স্বর্গ ' এর অধিবাসী এ গল্পের মুখ্য চরিত্রের গঠনমূলক সমালোচনা করে এর নামকরণকে সার্থক করে তুলেছেন ।
* অন্য সকলের মত মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে ।"— কার কথা বলা হয়েছে ? তার মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার যে কারণ লেখক আলোচনা করেছেন এই প্রসঙ্গে সেটের বিবরণ দাও ।
উঃ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে বাঁচায় কে বাঁচে ছোটগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধিটিটিতে মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী বন্ধন নিখিলের কথা বলা হয়েছে ।
মৃত্যুঞ্জয় ছিল ধীর স্থির , নির্বিরোধী , সহানুভূতিশীল এক ভালো মনের যুবক ন্যায়নীতিবোধ সম্পন্ন এক সাদা সিদে মানুষ ছিল সে । কিন্তু শুধুমাত্র তার এইসব ইতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই যে নিখিল তাকে পছন্দ করত তা নয় । মানব সভ্যতার নষ্ট হয়ে যাওয়া সর্বপ্র প্রাচীন যে ঐতিহ্য আদর্শবাদ , তা কল্পনায় এবং সাধনের মৃত্যুঞ্জয় নিজের দেহ মন প্রাণ নিমজ্জিত করে দিয়েছিল বলেই তাকে নিখিল খুব পছন্দ করত ।
অনা কাশ্মীর অপরিবর্তন ওকে পরিবর্তিত করতে যে শক্তি প্রয়োজন হয় , বর্তমানে যে শক্তি ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে গেছে তেমনি এক শক্তির অধিকারী ছিল সে । এই বিশেষ শক্তির অধিকারী বলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি মৃদু হিংসা নিখিল পোষণ করে ভাবে যে , সে নিজের মৃত্যুঞ্জয় হলে খারাপ হতো না । নিখিল যে মৃত্যুঞ্জয়কে খুব পছন্দ করে এবং ভালো ও বাসে তার কারণ সম্বন্ধে লেখক এ কথাগুলি পাঠককে জানিয়েছেন ।
Post a Comment