ভৌম জলের নিয়ন্ত্রক গুলি আলোচনা করো

                 

                  প্রাকৃতিক ভূগোল   


*ভৌম জল কাকে বলে? ভৌম জলের গুরুত্ব আলোচনা কর ?

          ভু-অভ্যন্তরে কিংবা মৃত্তিকা , রেগোলিথ এবং শিলার অত্রে যে জল অবস্থান করে , তাকে ভৌম জল বলে ‌‌।    

ভৌম জলের প্রধান উৎস হল বৃষ্টি ও তুষার গলা জল । বৃষ্টিপাত ও তুষার গলা জলের সামান্য অংশ পৃথিবীর অভিকর্ষজ টানে মাটির মধ্য দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরে অপ্রবেশ্য স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় এবং অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের উপরে মৃত্তিকা সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত করে রাখে ।


   ভৌম জলের গুরুত্ব 

মানব জীবনে ভৌম জলের গুরুত্ব অপরিসীম। 


1) পানীয় জলের উৎস :   ভৌম জল মানুষের পানীয় জলের প্রধান উৎস । গভীর ও গভীর নলকূপ , কুয় থেকে আমরা পানীয় জল সংগ্রহ করি । প্রস্রবনের মধ্য দিয়ে নির্গত ভোমজল পানীয় হিসেবে অনেক সময় ব্যবহার হয়  ।


2) কৃষি ও শিল্পকর্মের প্রসার :   বহু অঞ্চলে ভৌম জলের সঞ্চয়নির্ভর কৃষি কাজ ও শিল্প কাজ গড়ে ওঠে । পশ্চিমবঙ্গের বড় স্থানে গভীরত ও গভীর নালকূপের মাধ্যমে ভৌম জল উত্তোলন করে বহু ফসলি শস্যের উৎপাদন সম্ভব হয়েছে ।


3)   ভূতাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন :       উষ্ণ প্রস্রবণ ও গিজারের উত্তপ্ত ভৌম জলকে কাজে লাগিয়ে ভূতাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে । 


4) পশুদের পানীয় জলের জোগান :    চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ শুষ্ক প্রকৃতির । এই অঞ্চলের তিনোই প্রধান উদ্ভিদ ।         পশু পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল এই অঞ্চলে গঠিত ভৌম জলের ভান্ডার থেকে সংগ্রহ করা হয় । 


 চিত্রসহ জলপীঠ ভৌম জলের স্তরের বিবরণ দাও ?


   (জলপীঠ বা ভৌম জলস্থর)


ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে ভূ-অভ্যন্তরে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর পর্যন্ত বিস্তৃত জলবাহী স্তরকে সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে (১) ফিরিয়েটীক জল স্তর  এবং  (2) ভাদস জলস্তরে ভাগ করা হয় । 


     (১) ফিরিয়েটিক জলস্থর :

ভুয়া অভ্যন্তরে মৃত্তিকা ও প্রবেশ ও শিলাস্তরের যে অংশ জলে সম্পৃক্ত থাকে , তাকে ফিরিয়েটিক স্তর বলে । 

এই স্তর থেকে মানুষের তৈরি কূপে জল সঞ্চারিত হয় বলে এই স্তরকে পেরিয়েটিক জলস্তর বলে । জলপীঠের স্থায়িত্ব অনুযায়ী এই স্তরকে   


১) স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর (২) সাময়িক সম্পৃক্ত স্তরে ভাগ করা হয় ।











Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post