মৃত্তিকা ক্ষয়
মৃত্তিকা ক্ষয় |
মৃত্তিকা ক্ষয় কাকে বলে ?
বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি ( বৃষ্টিপাত, জলপ্রবাহ, বায়ু প্রবাহ, হিমবাহ ,সমুদ্র তরঙ্গ প্রভৃতি ) ও মানুষের অবাচ্ছিত হস্তক্ষেপ ও কার্য বলির ফলে মাটির পিস্ট স্তরের
হালকা ও অসংবদ্ধ অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত , অপসারিত ও নবনীবোত হয় এবং মাটির উর্বরতা সহ স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য দ্রুত হ্রাস পায় । একে মৃত্তিকা হয় বলে ।
জলের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয়ের পদ্ধতি সমূহ ?
প্রধানত জলের মাধ্যমে চার ভাগে মৃত্তিকা ক্ষয়় পরিলক্ষিত হয় ।
বৃষ্টির কোন সরাসরি মৃত্তিকার উপরিভাগে পড়লে বৃষ্টি কোনার আঘাতে মাটির কোন সমষ্টি ভেঙ্গে গিয়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম মৃত্তিকা কোনায় পরিণত হয় , এই প্রক্রিয়াকে অদ্যমক্তক ক্ষয় বলে ( splash erosion ) বলে ।
খয়ের ফলে মৃত্তিকার উপর ইস্তরে সুখ্য মৃত্তিকা কণার মধ্যবর্তী ছিত্রগুলি বন্ধ হয়ে যায় । এর ফলে বৃষ্টির জল মৃত্তিকার গভীরে পৌঁছাতে পারে না এবং মৃত্তিকার উপরিভাগে কোনা গুলি বৃষ্টির জলের সঙ্গে অন্যত্র পরিবাহিত হয়ে যায় ।
চাদর ক্ষয়
প্রবল বৃষ্টির জলে ভুমির ঢাল বরাবর জমির উপরে পাতলা মাটির স্তর চাদরের মতো সরে যায় । একে চাদর ক্ষয় বলে ।
এই প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকা স্তরের গুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে । এই পদ্ধতিতে মৃত্তিকা ক্ষয় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে হতে থাকে এবং মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস পায় ।
মৃত্তিকা সংরক্ষণ কাকে বলে ? মৃত্তিকা সংরক্ষণের কৃষিজ পদ্ধতি গুলি আলোচনা করো ।
যে বিজ্ঞানসম্মত ও সুপরিকল্পিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মৃত্তিকার ক্ষয় রোধ করে উর্বরতা শক্তি পুনরুদ্ধার , জমির কার্যকারিতা শক্তি বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি মাটি সম্পর্কে মানুষের কল্যাণে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা হয় তাকে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বলে ।
মৃত্তিকা সংরক্ষণের কৃষিজ ও পদ্ধতি সমূহ
ফসল পুনরাবর্ততন : শস্য বর্তন , আনুং কৃষি এবং নানা ধরনেের শস্য একই জমিতে চাষের মাধ্যমে মৃত্তিকাা ক্ষয় রোধ করা যায় ।
কারণ এতে কোন সময়ই জমি উন্মুক্ত বা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে না এবং মৃত্তিকার তিক্তা ও বৃদ্ধি পায় । এইজন্য ভারতে বর্ষাকালে একই জমিতে ভুট্টা , মটর , ছোলা ইত্যাদি শস্যের চাষ হয় ।
Post a Comment