প্রাকৃতিক ভূগোল
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও সৃষ্ট ভূমিরূপ |
ভূত্বক পরিবর্তনকারী পার্থিক প্রক্রিয়াগুলি কয় ধরনের ও কি কি ?
ভূত্বক পরিবর্তনকারী পার্থিব প্রক্রিয়াগুলি -
দুই ধরনের । ১) আন্তজাত প্রক্রিয়া । (২) বহিজ্জাত প্রক্রিয়া। ।
অবরোহন প্রক্রিয়া কাকে বলে ?
যে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা আবহবিকার , ক্ষয়ীভবন , ও পঞ্জিত ক্ষয়ের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের উঁচু অংশের উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পেভূভাগ নিচু হতে থাকে এবং ঘয়ের শেষ সীমায় পৌঁছায় , তাকে অবরোহন বলে ।
অবরোহন প্রক্রিয়া কটি পদ্ধতিতে কাজ করে ও কি কি ?
এটি তিনটি পদ্ধতিতে কাজ করে ।
যথা - গৌড় , ইনসেলবাজ ।
আবহবিকার কাকে বলে ?
যে প্রক্রিয়ায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন উপাদান দ্বারা ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তর যান্ত্রিকভাবে চূর্ণ-বিচ্ছন্ন এবং রাসায়নিকভাবে বিয়োজিত হয়ে উৎপন্ন পদার্থ সংস্থানের অবস্থান করে তাকে আবহবিকার বলে ।
পুঞ্জিত ক্ষয় কি বা পুঞ্জিত ক্ষয় কাকে বলে ?
যে প্রক্রিয়ায় আবহবিকার জাত পদার্থ পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তির টানে পর্বতের ঢাল বরাবর ধীরে ধীরে বা দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসে তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে ।
ক্ষয়ীভবন কাকে বলে ?
যে প্রক্রিয়া আবহবিকার জাত পদার্থ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়জাত পদার্থ উৎপত্তিস্থল থেকে অন্যত্র পরিবাহিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পায় এবং ভূপৃষ্ঠের একটি সমান তলে পরিণত হয় বা ভূ ভাগ খয়ের শেষ সীমায় এসে উপনিত হয় , তাকে ক্ষয়ীভবন বলে ।
নগ্নী ভবন কাকে বলে (Denudation) :
যে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবন পদ্ধতির যৌথ ক্রিয়াশীলতায় ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাস্তর বিচ্ছিন্ন হয়ে অপসারিত হয় , নিচের শিলাস্তর ভূপৃষ্ঠে উদমুক্ত হয়ে পরে এবং ভূমির উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পায় , তাকে নগ্নীভবন বলে ।
অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ও বহির্জাত প্রক্রিয়া কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ ?
অন্তর্জাত প্রক্রিয়া -
1) এটি ভূ অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূমিরূপ গঠনকারী আকস্মিক প্রক্রিয়া ।
2) ভূ অভ্যন্তরে গলিত ম্যাগমার তাপ ও চাপের পরিবর্তন , রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সংগঠিত হয় ।
3) স্থানীয় বা আঞ্চলিকভাবে এটি প্রভাব বিস্তার করে ।
বহির্জাত প্রক্রিয়া -
1) এটি ভূপৃষ্ঠের সৃষ্ট ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী অতিধির প্রক্রিয়া ।
2) জলবায়ুর উপাদান নদী ,বায়ু, হিমবাহ , সমুদ্র তরঙ্গ ভৌমজল ,জোয়ার দ্বারা এটি সংঘটিত হয় ।
আরোহন ও অবরোহন এর মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ ?
আরোহন -
- আরোহন প্রক্রিয়া ভূভাগের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ।
- আরোহণে ক্ষয়জাত পদার্থ অন্যত্র সঞ্চিত হয় ।
- ক্ষয়ীভবনের শক্তি সমূহ অর্থাৎ নদী , বায়ু , হিমবাহ , সমুদ্রতরঙ্গ ।
অবরোহন -
- অবরোহন প্রক্রিয়া, ভূভাগের উচ্চতা হ্রাস করে।
- এতে ভূস্তকের শিলাস্তর ক্ষয় পেয়ে নিচের শিলা নগ্ন্ন হয়ে পড়ে ।
- আবহবিকার , পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ভবনের শক্তি সমূহ ।
নদী উপত্যকা কাকে বলে (River Basin) :
উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত গতিবেগের দুপাশের উচ্চভূমির মাঝে যে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমির মধ্য দিয়ে নদীর জলধারা প্রবাহিত হয় , তাকে নদী উপত্যকা বলে
নদী কাকে বলে (River) :
উঁচু মালভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল থেকে বৃষ্টির জল বা হিমবাহ গলা জল বা প্রস্থ বনের জল একটি স্বাভাবিক জলধারা রূপে নির্দিষ্ট খাতের মধ্যে দিয়ে অভিকর্ষ শক্তির টানে ভূমি ঢাল অনুসারে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়ে
অবশেষে সমুদ্র বা হ্রদ বা অন্য কোন নদীতে মিলিত হয় । একে নদী বলে ।
জলচক্র কাকে বলে বা জলচক্র কি :
যে চক্রাকার পদ্ধতিতে জল কঠিন , তারল্ ও গ্যাসীয় অবস্থায় শিলামন্ডল , বারিমন্ডল ও বায়ুমন্ডলের মধ্যে
আবর্তিত হয়ে জলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। তাকে জলচক্র বলে ।
জলবিভাজিকা কাকে বলে ও উদাহরণ দাও
(Water Diveide) :
যে উচ্চভূমি অর্থাৎ পর্বত বা পাহাড় পাশাপাশি অবস্থিত দুই বা ততোধিক নদী অববাহিকা বা নদী গোষ্ঠীকে পরস্পর থেকে আলাদা করে , তাকে জলবিভাজিকা বলে ।
উদাহরণ - মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম জলবিভাজিকা ।
আদর্শ নদী কাকে বলে ও একটি আদর্শ নদীর উদাহরণ দাও :
যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কাজ প্রধান উচ্চগতি , বহন কাজ প্রধান মধ্যগতি , সঞ্জয় কাজ প্রধান নিম্ন গতি এই তিনটির গতি প্রবাহ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাজ
সুস্পষ্ট ভাবে লক্ষ্য করা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে ।
যেমন - গঙ্গা , সিন্ধু , নীল , আমাজন ।
নদীর উচ্চ মধ্য ও নিম্ন গতির মধ্যে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর :
ক্যানিয়ন ও গিরিখাত এর মধ্যে পার্থক্য লেখ :
গিরিখাত -
- এটি ক্যানিয়নের চেয়ে কম গভীর ও সংকীর্ণ।
- এক্ষেত্রে নিম্ন ক্ষয়ের সঙ্গে পার্শ্ব ক্ষয়ের ভূমিকা থাকে ।
- বৃষ্টিপাত যুক্ত আর্দ্র অঞ্চলে গিরিখাত গঠিত হয় ।
- ক্যানিয়ন অন্তত গভীর সংকীর্ণ হয় ।
- এটি মূলত তীব্র নিম্ন ক্ষয়ের জন্য গড়ে ওঠ ।
- দৃষ্টিহীন শুষ্ক মোরুপ্রায় অঞ্চলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয় ।
إرسال تعليق